### **ইতিহাস:**
ঢাকা আইএইচটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালে, তখনকার সময় দেশব্যাপী চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী তৈরির উদ্দেশ্যে। এর মূল লক্ষ্য ছিল স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করতে এবং স্বাস্থ্যখাতে পেশাদার প্রশিক্ষণ প্রদান করা। প্রথমে কয়েকটি ডিপ্লোমা কোর্স দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর সিলেবাস ও পাঠক্রমে বৈচিত্র্য আসে।
প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে ছোট আকারে পরিচালিত হলেও সময়ের সাথে সাথে এর পরিসর ও কার্যক্রম বাড়ানো হয় এবং বর্তমানে এটি বাংলাদেশে প্যারামেডিকাল প্রশিক্ষণ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যান্য কোর্সের মধ্যে অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
### **কার্যক্রম ও কোর্সসমূহ:**
ঢাকা আইএইচটি বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে:
1. **ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি**:
- কোর্সের মেয়াদ চার বছর।
- বিষয়ের মধ্যে আছে ল্যাবরেটরি টেকনোলজি, ডেন্টাল টেকনোলজি, রেডিওলজি, ফিজিওথেরাপি, ফার্মেসি রেডিওথেরাপি,আইসি টেকনোলজি ও ওটি টেকনোলজি ইত্যাদি।
- এই কোর্সের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া, যা স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
2. **বিএসসি কোর্স**: চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন ল্যাবরেটরি মেডিসিন, রেডিওলজি আন্ড ইমেজিং এছাড়াও পাচ বছর মেয়াদি ফিজিওথেরাপি কোর্সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাঠ্যদান চলছে।
।
### **উন্নয়ন ও প্রসার:**
ঢাকা আইএইচটি সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি এবং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণ করেছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আধুনিক ল্যাবরেটরি সুবিধা এবং উন্নত প্রশিক্ষণ উপকরণ ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এছাড়াও, নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে তার পাঠ্যক্রম আপডেট করে।
বর্তমানে ঢাকা আইএইচটি তে মেয়েদের জন্য দুইটি আবাসিক হল ও ছেলেদের জন্য নতুন হল সহ তিনটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আবাসিক হল রয়েছে।
### **অবদান ও প্রভাব:**
ঢাকা আইএইচটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এখান থেকে প্রশিক্ষিত টেকনোলজিস্টরা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কর্মরত থেকে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করছে।










0 মন্তব্যসমূহ